Business mobile recharge & mob banking

 

মোবাইল বিল রিচার্জের ব্যবসা

বাংলাদেশে চলমান সময়ে স্বল্প বিনিয়োগে অধিক লাভজনক আত্মকর্মসংস্থানমূলক ব্যবসার নাম প্রিপেডি মোবাইল বিল রিচার্জের ব্যবসা। এই ব্যবসা দেশের অন্যান্য স্বল্প আয়ের ব্যবসা থেকে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। একদিকে এই ব্যবসায় ঝুঁকি যেমন কম অন্যদিকে লাভও বেশি। এছাড়া গ্রাহকদের সুবিধার জন্য গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল মোবাইলের মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়।

দেশের দ্বিতীয় শীর্ষস্থানীয় মোবাইল কোম্পানী বাংলালিংকের মতিঝিল সেলস এন্ড কেয়ার সেন্টারের প্রধান নির্বাহীর তথ্য মতে, শুধু বাংলালিংকের দেশে আড়াই কোটি মোবাইল গ্রাহক রয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সংখ্যাও। দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল কোম্পানী গ্রামীণফোনের ন্যায় বাংলালিংক, সিটিসেল, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক প্রায় সকল মোবাইল কোম্পানীর থানা পর্যায়ে কাস্টমার কেয়ার সেন্টার রয়েছে। এসব কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি গ্রামগঞ্জে মোবাইল রিচার্জের পোস্টপেইড বিল প্রদানের দোকান বাড়ছে। তবে সেটা চাহিদার চেয়েও অপ্রতুল। স্বল্প বিনিয়োগের ফলে আপনিও এই ব্যবসায় আত্মনিয়োগ করে স্বাবলম্বী হতে পারে।

শুরু করবেন কীভাবে

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ৬টি মোবাইল কোম্পানী রয়েছে। এসব কোম্পানীর দেশের প্রতিটি থানায় কাস্টমার কেয়ার সেন্টার রয়েছে। এসব কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের অধীনে তাদের নিয়োগকৃত এসআর রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করে স্বল্প বিনিয়োগে উৎসাহী ব্যবসায়ীরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, যশোর, সিলেট, বরিশাল প্রভৃতি বিভাগীয় শহরের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অবস্থানরত বেকার যুবকদের মোবাইল বিল প্রি-পেইড রিচার্জের ব্যবসায় যোগদান করার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে যাদের দোকান ভাড়া নেয়ার সামর্থ্য নেই তারা ছোট একটি চেয়ার এবং টেবিল নিয়ে কোন স্থানে বসে শুরু করতে পারেন। তবে থানা পর্যায়ে বেকার যুবকরা তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে ছোট একটি দোকান ভাড়া নিয়ে মোবাইল বিল প্রি-পেইড রিচার্জের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

কত টাকা বিনিয়োগ করবেন

দেশের ৬টি মোবাইল কোম্পানীর মধ্যে গ্রামীণফোন উপজেলা পর্যায়ে প্রথমে ১০ হাজার টাকা, বিভাগীয় শহরে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে সিম দিয়ে থাকে। ক্রমান্বয়ে বাংলালিংক ১০ হাজার টাকা, রবি ৫ হাজার টাকা, সিটিসেল ৫ হাজার টাকা, এয়ারটেল ৩ হাজার টাকা, টেলিটক ২ হাজার টাকার বিনিয়োগের মাধ্যমে মোবাইল বিল প্রি-পেইড রিচার্জের ব্যবসা শুরু করা যায়। দেখা যায় একজন স্বল্প পুঁজির বেকার তরুণ মাসে ৩০-০৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

মাসে কত টাকা লাভ পাওয়া যাবে

একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ৩০-৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে মাসে ৮-১০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। দেশের মোবাইল কোম্পানীগুলোর মধ্যে গ্রামীণফোন এক হাজার টাকা লোড করলে ২৭ টাকা ৫০ পয়সা কমিশন দিয়ে থাকে। একইভাবে বাংলালিংক ২৭ টাকা ৫০ পয়সা, টেলিটক ৩০ টাকা, সিটিসেল ৩০ টাকা এয়ারটেল ২৮ টাকা রবি ২৭ টাকা ৫০ পয়সা কমিশন দিয়ে থাকে। অন্যদিকে দেশের সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দূর করার জন্য গ্রামীণফোনের মাধ্যমে গ্যাসের বিল দেয়া যায়। সেক্ষেত্রে একজন মোবাইল বিল প্রি-পেইড রিচার্জ ব্যবসায়ী গ্যাসের গ্রাহকদের বিল ৪৫০ টাকা থেকে ১৪৯৯ টাকার জন্য ১০ টাকা কমিশন, ১৪৯৯ থেকে পাঁচ হাজার টাকা বিলের জন্যে ১৫ টাকা এবং পাঁচ হাজার টাকা ঊর্ধ্বে বিলের জন্য ২৫ টাকা হারে কমিশন পেয়ে থাকেন। তাতে দেখা যায়, প্রতিদিন একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ১০-১২ হাজার টাকা লোড করতে পারলে ৪০০-৫০০ টাকা আয় করতে পারে। এই বিষযে কামরাঙ্গীরচরের নূর টেলিকমের রতন মিয়া জানান, তিনি প্রতিদিন ১২-১৫ হাজার টাকা লোড করে থাকেন এবং প্রতিদিন ৫০০-৬০০ টাকা আয় করেন। তার আহ্বান, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা মোবাইল বিল প্রি-পেইডের রিচার্জের ব্যবসায় জড়িয়ে নিজকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারেন। অন্যদিকে মোবিাইল বিল প্রি-পেইডের কমিশন বাড়ানোর দাবি করে যাত্রাবাড়ী-দনিয়ার ব্যবসায়ী খন্দকার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, মোবাইল কোম্পানীগুলো প্রতি হাজারে যে টাকা কমিশন দিচ্ছে তা নিতান্তই কম। অনেক সময় দেখা যা, কোন গ্রাহকের মোবাইলে ১০০ টাকা লোড করতে গিয়ে ভুলে অন্য মোবাইলে টাকা চলে যায় তখন যে ক্ষতির শিকার হয়, তা ঐ বিল প্রি-পেইড ব্যবসায়ীকে বহন করতে হয়। তার দাবি মোবাইল কোম্পানীগুলোকে হাজার ৫০-৬০ টাকা কমিশন দিলে এই ব্যবসায় দেশের নি¤œ-মধ্যবিত্ত অনেক বেকার যুবকের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই বিষয়ে গ্রামীণফোন মতিঝিল কাস্টমার কেয়ারের কর্তব্যরত কর্মকর্তার সাথে আলাপ করতে চাইলে তিনি বলেন, কোম্পানীর বিষয় আমরা অন্য কিছু বলতে চাই না।

 

বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা লাভ সুবিধা কমিশন ও খোলার নিয়ম

বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা লাভ সুবিধা অসুবিধা ও অন্যান্য প্রশ্ন সম্পর্কিত সকল তথ্য দেখে নিন

মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিকাশ এখন দেশের সেরা। তাই বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায় আপনি মূলত কমিশন পাবেন । আপনার সেলস বা লেনদেন যত বেশি হবে আপনি তত বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।

পোষ্টের শুরুতেই আপনাদের জানবো কিভাবে বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলবেন। বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলতে আপনার কি কি কাজ পত্র প্রয়োজন। আপনি একটি বিকাশ এজেন্ট ২ টি উপায়ে খুলতে পারবেন।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

  1. বিকাশ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে 

  2. আপনার এলাকার বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিস থেকে

নিজস্ব এলাকার বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিস থেকে বিকাশ এজেন্ট খোলা সঠিক ও সহজ । সব কাগজপত্র এবং তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর ব্যবসা করার অনুমতি দেবে প্রতিষ্ঠান।

  • যিনি এজেন্ট হতে চান তার ফটো আইডি ।

  • এখানে আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট আইডি/ পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স যে কোন একটি ব্যাবহার করতে পারেন।

  • ট্রেড লাইসেন্স ।

  • যোগাযোগ নম্বর ।

  • ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নাম  ।

ট্রেড লাইসেন্স কি , ট্রেড লাইসেন্স করতে কি প্রয়োজন ?

এককথায় এটি একটি ব্যবসায়ি সনদ ও বলতে পারেন। আপনি যে এলাকায় ব্যবসা করছেন সে এলাকার এউনিয়ন পরিষদ / পৌরসভা / সিটি করপরেশান থেকে আপনাকে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে ।

ট্রেড লাইসেন্স নিতে আপনাকে হাল-নাগাদ খাজনা দেয়া রসিদ, জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট আইডি এবং আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চুক্তির কাগজ পত্র সহ উপরোক্ত যে কোন একটি অফিসে যেতে হবে ।

বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা কোথায় দিবেন বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা ?

লোকেশন নির্ধারণ যে কোন ব্যবসা জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তেমনি বিকাশ ব্যবসা করার জন্য আপনাকে সঠিক জায়গাটি নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

লোক-সমাগম বেশি হয় এমন জায়গায় বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করা বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু আপনি কি পরিমান টাকা ইনভেস্ট করতে পাবেন তাও লক্ষ রাখতে হবে।

উপরে আমি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসাকে ভাল একটি খুদ্র ব্যবসা বলেছিলাম। কিন্তু স্থান ভেদে বিকাশ এখন লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা ।

  • হাট-বাজার,

  • শিল্প প্রতিস্থানের আসে-পাসে,

  • বাস-স্ট্যান্ড,

  • শপিং-মল ইত্যাদি জায়গা এ ব্যবসার জন্য আদর্শ স্থান।

  • এছাড়া শহরে রাস্তার পাশে বিভিন্ন পয়েন্ট এ এখন বিকাশ ব্যবসা করছেন অনেকেই।

তবে আজকাল বেশির ভাগ মানুষ নিজস্ব ব্যবসার পাশাপাশি বিকাশ ব্যবসা করেছে।এটা টাকা থাকে ক্যাশ টাকা বাড়ানোর আরও একটি সহজ উপায় ।

বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করতে কত টাকা মূলধন লাগে ?

এই প্রশ্নে আপনাকে বলতে পারি যে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করতে বেশি টাকার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আগেই বলেছি স্থান ভেদে বিকাশ এখন লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা ।

প্রথম দিকে আপনি ৫০ হাজার থেকে এক লাখ  টাকায় এই ব্যবসা শুরু করা যায়। বিকাশ এজেন্ট এ টাকা লেনদেন কোন লিমিট নেই। আপনি যত বেশি টাকা লেনদেন করবেন আপনার লাভ তত বেশি ।

বিকাশ এজেন্ট লাভ বা কমিশন কত ?

বর্তমানে বিকাশ এজেন্ট লাভ ২ ভাগে বিভক্ত। ম্যানুয়ালি USSD Code *247# ডায়াল করে বিকাশ করলে আপনি এক ধরনের কমিশন । আবার বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ ব্যাবহারে পাবেন একটু বাড়তি কমিশন।

পদ্দতি

কমিশন প্রতি হজারে

বাড়তি কমিশন

USSD Code *247#

৪.১০ টাকা

বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ

৪.৩০ টাকা

০.২০ টাকা

৯০% ট্রানজেকশন অ্যাপ থেকে

বাড়তি ০.২০ টাকা 

মোট ৪.৫০ টাকা

USSD Code *247# ডায়াল করে কমিশন

বিকাশ এজেন্ট থেকে  *247# ডায়াল করলে ক্যাশইন করলে কমিশন পাবেন প্রতি হাজারে ৪.১০% ( ৪ টাকা ১০ পয়সা) । যদি আপনি ১০,০০০ ( দশ হাজার ) টাকা ক্যাশইন করেন তবে ৪১ টাকা কমিশন পাবেন ।

ইউসডি কোড ডায়াল করে ক্যাশ আউট করলেও আপনি সম-পরিমান টাকা ৪.১০% কমিশন পাবেন ।

যেমন, যদি আপনার বিকাশ এজেন্ট একাউন্টে ৫০০০ টাকা ক্যাশ-আউট করে তবেও আপনি ২০.৫০( ২০ টাকা ৫০ পয়সা ) টাকা কমিশন ।

মোট আপনার একাউন্টে ৫০০০+ ২০.৫০=৫০২০.৫০ টাকা যোগ হবে।

USSD Code *247# 

কমিশন 

ক্যাশ ইন ১০০০ টাকা

৪.১০ টাকা

ক্যাশ ইন ১০০০০ টাকা হলে

৪১ টাকা

বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ থেকে ক্যাশইন করলে কমিশন 

বিকাশ পার্সোনাল গ্রাহকদের জন্য যেমন অ্যাপ আছে। তেমনি তাদের এজেন্টদের জন্য রয়েছে আলাদা বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ। অ্যাপ থেকে ক্যাশইন করলে কমিশন একটু বেশি পাবেন প্রতি হাজারে ৪.৩০% ( ৪ টাকা ৩০ পয়সা) ।

যদি আপনি ১০,০০০ ( দশ হাজার ) টাকা ক্যাশইন করেন তবে ৪৩ টাকা কমিশন পাবেন । অ্যাপ ব্যাবহারে আপনি বাড়তি কিছু কমিশন পাবেন।

তবে, আপনাকে আপনার ক্যাশইন সর্বমোট লেনদেনের ৯০% ক্যাশইন এজেন্ট অ্যাপ থেকে করতে হবে। বিকাশ তাদের এজেন্টদের প্রতি হাজারে ০.২০ পায়সা বাড়তি কমিশন দিয়ে থাকে।

আপনি এজেন্ট অ্যাপ ব্যাবহার করলেও ক্যাশ আউট থেকে প্রতি হাজারে ৪.৩০% কমিশন পাবেন। মোট আপনার একাউন্টে ৫০০০+ ২১.৫০=৫০২১.৫০ টাকা যোগ হবে।

এজেন্ট অ্যাপ থেকে সারা মাসের ক্যাশইন ও ক্যাশ-আউট মিলিয়ে আপনি যদি দশ লক্ষ টাকা লেনদেন করেন তবে, আপনি বাড়তি ২০০ টাকা কমিশন পাবেন ।

বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ থেকে

রেগুলার কমিশন 

বাড়তি কমিশন 

মোট কমিশন 

ক্যাশ ইন ১০০০ টাকা

৪.৩০ টাকা

০.২০ টাকা

৪.৫০ টাকা

ক্যাশ ইন ১০,০০০ টাকা হলে

৪৩ টাকা

২ টাকা

৪৫ টাকা

সর্বমোট লেনদেন ১,০০০০০ টাকা 

৪৩০ টাকা 

২০ টাকা

৪৫০ টাকা

বিকাশ এজেন্ট থেকে দিনে বা মাসে কত টাকা আয় করা যাবে ?

৫০ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে যদি দিনে গড়ে ৮০ হাজার টাকা লেনদেন হয়, এই হিসেব অনুযায়ী দৈনিক ৩২৮৳ আয় করতে পারবেন।

So, আপনি

  •  দিনে ৩০*৩২৮=৯৮৪০ টাকা পাচ্ছেন,

  • তবে,

  • বিকাশ এজেন্ট অ্যাপ থেকে এই পরিমান ট্রানজেকশন থেকে ১০৮০০ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন।

আপনি আরও বেশি টাকা আয় করতে ছাইলে আপনার বেশি টাকা ইনভেস্ট করতে হবে ।

আমি এক এজেন্ট কে প্রশ্ন করে জানতে পারি ১ লক্ষ টাকায় মাসে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব হবে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়।

AFTER THAT,

এই কথা বলা যায় আপনার এজেন্ট পয়েন্টটি বেশি জনবহুল এলাকায় হলে আরও বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।

বিকাশের পাশাপাশি অন্য ব্যবসা

এখন আপনি বিকাশ ব্যবসা করার পাশাপাশি আপনি করতে পারেন মোবাইল রিচার্জ ব্যবসা। এছাড়া দোকানে রাখতে পারেন মোবাইল এক্সেসরিজ ফোন, সিমকার্ড, চার্জার, ব্যাটারি, হেডফোনসহ মোবাইল ফোনের সরঞ্জাম।

ঠিক ঠাক মত ব্যবসা করতে পারলে দিনে গড়ে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করে আয় করতে পারবেন। মাস শেষে যা দাঁড়ায় প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা।

দেশের অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দাতা

  • ডাক-বিভাগের নগদ ,

  • ইউসিবির ইউক্যাশ,

  • ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং,

  • গ্রামীণফোনের মোবিক্যাশ ইত্যাদি।

  • আরও বেশি আয় করতে আরও মোবাইল ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক এ নিজেকে যুক্ত করুন ।

বিকাশ এজেন্টের সুবিধা বা বিকাশ এজেন্ট হলে লাভ কি

যে কোনো ব্যবসার পাশাপাশি আপনি বিকাশ এজেন্ট ব্যবসা করতে পারেন । আশেপাশে লক্ষ করলে দেখতে পাবেন কিভাবে বিকাশ ব্যবসা চলছে অন্য ব্যবসার সাথে ।

  • বিকাশ এজেন্ট নাম্বার থাকলে আপনি কোন লিমিট ছাড়া লেনদেন করতে পারবেন ।

  • আপনার বিকাশ এজেন্টে আউট হলেও আপনি কমিশন পাচ্ছেন ।

  • প্রয়োজন অনুজায়ি আপনি টাকা বিকাশ DSO থেকে নগদ ক্যাশ নিতে পারেন ।

বিকাশ ব্যবসা করার জন্য সাবধানতা অথবা বিকাশ ব্যবসার নিয়ম

এজেন্টদের সব সময় ব্যালেন্স চেক করে লেনদেন করতে হবে। নিয়ম রয়েছে এক ব্যক্তি একাধিক অ্যাকাউন্ট করতে পারবে না এবং একসঙ্গে ২৫ হাজার টাকার বেশি লেনদেন করতে পারবে না।

লেনদেনের সময় সতর্ক থাকতে হবে, নম্বর ভুল হচ্ছে কি না। ভুলে কোন বেক্তিগত নম্বরে টাকা চলে গেলে তা আপনি ঐ গ্রাহক টাকা না দিলে আপনার কিছুই করার থাকবে না ।

কিন্তু, ভুলে বিকাশ এজেন্ট নম্বরে টাকা গেলে আপনি আপনার বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর অফিসে জনালে তারা আপনার টাকা ফিরত আনার চেষ্টা করতে পারে ।

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট হ্যাকিং ও প্রতারক চক্র

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট হ্যাকিং হয়েছে এমন এখনও শুনি নাই।কিন্তু,  বেক্তিগত নম্বরে একাউন্ট হ্যাকিং খবর শুনা যায়।

তবে, বিকাশ তাদের গ্রাহকদের সর্বদা সতর্ক করে PIN CODE ও VERIFICATION CODE কাউকে না জানানোর জন্য।

  • প্রতারক চক্র ফোনে কর্তৃপক্ষের পরিচয়ে টাকা ট্রানজেকশন করতে বলে। এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।

  • বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট PIN CODE প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে একবার পরিবর্তন করুন ।

  • PIN CODE গ্রাহকের সামনে শো করবেন না

  • আপনার ট্রানজেকশন রেজিস্টার খাতা জত্নে রাখুন।

  • প্রতারক চক্র বা কেউ কল করে আপনার এজেন্ট একাউন্ট ব্যালেন্স  জানাবেন না ।

  • মোবাইলের পুরনো sms ফরোয়ার্ড করে বর্তমানে জালিয়াতি করা হয়। এ বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।

 

লেনদেনের সীমা

লেনদেনের প্রকার

সর্বোচ্চ সংখ্যক লেনদেন

প্রতি লেনদেনে

সর্বোচ্চ পরিমাণ

দিনে

মাসে

সর্বনিম্ন (টাকা)

সর্বোচ্চ (টাকা)

দিনে (টাকা)

মাসে (টাকা)

এজেন্ট থেকে ক্যাশ ইন 

২৫

৫০

৩০,০০০

৩০,০০০

২০০,০০০

ব্যাংক থেকে বিকাশ ডিপোজিট​

কার্ড টু বিকাশ

সেন্ড মানি ও ট্রান্সফার মানি

৫০

১০০

১০

২৫,০০০

২৫,০০০

২০০,০০০

মোবাইল রিচার্জ​

৫০

১৫০০

১০

১,০০০*

১০,০০০

১০০,০০০

পেমেন্ট

প্রযোজ্য নয়

প্রযোজ্য নয়

প্রযোজ্য নয়

প্রযোজ্য নয়

প্রযোজ্য নয়

এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউট

২০

৫০

২৫,০০০

২৫,০০০

১৫০,০০০

এটিএম থেকে ক্যাশ আউট (কিউ-ক্যাশ)

২,০০০

২৫,০০০

এটিএম থেকে ক্যাশ আউট (ব্র্যাক ব্যাংক)

২,৫০০

২৫,০০০

ইন্টারন্যাশনাল রেমিটেন্স

১০

৫০

৫০

১,২৫,০০০

(২% সরকারি প্রণোদনাসহ)

১,২৫,০০০

(২% সরকারি প্রণোদনাসহ)

৪,৫০,০০০

(২% সরকারি প্রণোদনাসহ)

ব্যাংক ট্রান্সফার (আইব্যাংকিং)

বর্তমান ক্যাশ ইন লিমিট প্রযোজ্য। ক্যাশ ইন লিমিটে যেকোনো প্রকার ব্যাংকিং, কার্ড ট্রান্সফার এবং এজেন্ট থেকে ক্যাশ ইন অন্তর্ভুক্ত অর্থাৎ এজেন্ট থেকে ক্যাশ ইন এবং ব্যাংক ও কার্ড থেকে প্রাপ্তিতে একই লিমিট প্রযোজ্য।

 

বিঃদ্রঃ

  • একজন বিকাশ একাউন্ট হোল্ডার তার বিকাশ একাউন্ট থেকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকা এবং প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ১৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত টাকা তুলতে পারবেন (এজেন্ট এবং এটিএম থেকে সম্মিলিতভাবে)

  • আপনি ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড এটিএম ক্যাশ আউট সার্ভিস ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার বিকাশ একাউন্ট থেকে একটি একক লেনদেনে ২,৫০০ টাকা শুরু করে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ আউট করতে পারবেন।

  • একজন বিকাশ একাউন্ট হোল্ডার যে কোন মুহূর্তে তার একাউন্টে-এ সর্বোচ্চ ৩০০,০০০ টাকা রাখতে পারবেন।

  • একটি বিকাশ একাউন্ট থেকে যেকোনো সময়ে একবারে প্রিপেইড নাম্বারে সর্বোচ্চ *১,০০০ টাকা এবং পোস্টপেইড নম্বরে সর্বোচ্চ *৫,০০০ টাকা মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন।

  • রেমিটেন্স-এর ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে একজন ব্যক্তি বাংলাদেশে প্রতিদিন ১,২২,৫০০ টাকা পর্যন্ত এবং মাসে সর্বোচ্চ ৪,৪১,০০০ টাকা পাঠাতে পারবেন। প্রেরিত অর্থের সাথে ২% সরকারী প্রণোদনা যুক্ত হবে।

 


Comments

Popular posts from this blog

article submit of earn guest post

বাংলা নাটক ও ছিনেমা

Answer&question-Forum problem solve